মাটি খুঁড়তেই মিলল দেড়শ’ বছর আগের ‘গুপ্তধন’
প্রকাশিত : ১২:১৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০
আগেকার জমিদার কিংবা ধন-সম্পদের মালিকরা তাদের অর্থকড়ি মাটিতে পুঁতে রাখতেন। সে সময়ে এখনকার মতো ব্যাংক ব্যবস্থার প্রচলন ছিল না তাই চোর-ডাকাতের ভয়ে তারা অতিরিক্ত টাকা-পয়সা গোপন করতে গিয়ে মাটির মধ্যে রাখতেন। এ যুগে এসে সেই গুপ্তসম্পদের সন্ধানের খবর মাঝেমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। এরকমই একটি খবর পাওয়া গেল ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের উন্নাও থেকে।
উন্নাও থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫৮ বছর আগের মাটির নীচে থাকা গুপ্তধন। মাটির পাত্রের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে সেই বহু পুরোনো দিনের রূপা ও তামার মুদ্রা।
জানা যায়, ওই গ্রামে সচিবালয় নির্মাণের জন্য খনন কাজ চালাচ্ছিল গ্রাম পঞ্চায়েত। সে সময় শ্রমিকেরা কাজ করতে করতে হঠাৎই তাদের বেলচা মাটির নীচে থাকা একটি পাত্রে আঘাত করে। জোরে শব্দ হতেই শ্রমিকরা তত্ক্ষণাৎ হাত দিয়ে মাটি সরিয়ে ওই ‘মাটির পাত্র’ উদ্ধার করে। তার মধ্যেই ছিল রূপা ও তামার মুদ্রা।
গুপ্তধন উদ্ধারের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মুদ্রাগুলোকে এসডিএম অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেগুলো সিল করে ডিএম অফিসে পাঠানো হয়। গ্রামবাসীদের মতে বহু দিন আগে এখানে কেউ ওই মুদ্রা লুকিয়ে রেখেছিল।
এসডিএম রাজেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ১৮৬২ সাল থেকে ১৯১৯ সালের এই সময়ের মোট ১৭টি রূপার মুদ্রা পাওয়া গেছে। এছাড়া ২৮৭টি তামার মুদ্রাও ছিল ওই পাত্রটিতে। তবে তামা পুরনো হওয়ায় তারিখ শনাক্ত করা যায়নি।
উদ্ধারকৃত মুদ্রাগুলো সিল করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অফিসে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তা ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ পাঠানো হবে। সূত্র: কলকাতা ২৪
এএইচ/এসএ/